অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উপস্থাপক: বন্ধু ল্যারি জনসন! তোমাকে আমার আজকের অনুষ্ঠানে জানাচ্ছি স্বাগতঃ আজ সকালের সংবাদপত্রগুলো এমন খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে যে ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জর্ডান ইরানের ৯৯% ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে। আপনার মতে কোনো কিছুই কি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে নি? ইরানের ছোঁড়া কোনো কিছুই কি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে নি? আপনারও কি এই একই মত প্রিয় বন্ধু?
ল্যারি জনসন: জি না, দৃশ্যত ইসরাইল ইউক্রেনের একদল ব্যক্তিকে ভাড়া করেছে যাতে তারা বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সব ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংস করেছি’! ওদের মাথার পেছনের ভবনগুলোকে যেন পোড়ানোর ক্ষমতাই আগুনের নেই! যে বিষয়টা পুরোপুরি স্পষ্ট তা হল একটি তুফান শুরু হয়েছে, এটা ছিল একটি টর্নেডো এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলো দেখা গেছে। বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে ধ্বংসস্তূপগুলো দেখানো হয়েছে। ইসরাইল এসব দেখাবে না, কারণ সবাইকে এটা বিশ্বাস করানোর সহজতম উপায় হল এটা বলা যে, কোনো কিছুই ঘটেনি। আপনি বলবেন যে, ধ্বংসের ঘটনা তো ঘটেছে, এই যে দেখুন। ওরা জবাবে বলছে, আরে রাখুন তো, কোনো খবরই নেই (ধ্বংসের)! ওরা কোনো কিছুই দেখাবে না। আসলে বাস্তবতা হল বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেসব দেখতেও পারেন। এক ভিডিওতে দেখা গেছে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির (সুপারসনিক) ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিংবা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নামছে ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। আপনি দেখবেন যে সেসব একটার পর একটা নিচে নেমে এসে আঘাত হানছে, আকাশ-প্রতিরক্ষার একটি ক্ষেপণাস্ত্র সেটার দিকে যখন যাচ্ছিল আঘাত করতে তখনই সেটা তার গতিপথ বদলে ফেলছে এবং নিচে নেমে এসে টার্গেটের ওপর আঘাত হেনেছে।
ইরান তার উল্লেখযোগ্য শক্তিমত্তা দেখিয়ে দিয়েছে। ফার্স্ট আওয়ার (প্রথম ঘণ্টা) নামক অনুষ্ঠানের অ্যালিস্টেয়ার কোরকিনের বক্তব্য অনুযায়ী এই হামলা ছিল সমন্বিত। দাবা খেলার মত। ড্রোনগুলো কাজ করেছে সেনা হিসেবে ও নিজেদের কুরবানি বা উৎসর্গ করেছে যাতে ইসরাইলের আকাশ-প্রতিরক্ষার ইউনিটগুলো সক্রিয় হয় ও সেসবকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর এরপরই একে একে ইরানের ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নেমে আসতে থাকে: বুম বুম বুম! এই কৌশল সত্যিই ইসরাইলের আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিজয়ী হয়েছে এবং এই ব্যবস্থাকে লণ্ডভণ্ড করেছে।
Leave a Reply